পুরো পোস্টে আপনি সারা পৃথিবীর মুসলিম দেশের তালিকা, সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী মুসলিম দেশের তালিকা, সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে এগিয়ে থাকা মুসলিম প্রধান দেশের তালিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এমনকি আরও জানতে পারবেন, নতুন মুসলিম দেশ কোনটি, কয়টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং তাদের তালিকা, ইউরোপের মুসলিম দেশ কয়টি ও কি কি।
আপনি যদি এসব বিষয়ে আগ্রহী থাকেন, তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন, কেননা আর্টিকেলের একদম শেষে জানাব, বাংলাদেশ মুসলিম দেশ কিনা বা রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম কিনা।
কৌতুহল উদ্দীপক?
তবে, চলুন শুরু করা যাক!
বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর তালিকা
২০২১ সাল নাগাদ সারা পৃথিবীতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সংখ্যা ৪৭ টি। তবে, ওআইসি সদস্যভুক্ত মুসলিম দেশগুলোর সংখ্যা ৫৭ টি। অর্থাৎ, ওয়াইসির সদস্যভুক্ত বাকী ১০ টি দেশে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও সেসব দেশে মুসলিমরা ২য় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। সোজা কথা, সারা পৃথিবীতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সংখ্যা ৪৭ টি এবং বৃহৎ একটি অংশ মুসলিম এই হিসাব মিলিয়ে মুসলিম প্রধান দেশের সংখ্যা ৫৭ টি।
নিচে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ৪৭ টি দেশের তালিকা সন্নিবেশিত হল।
- ইন্দোনেশিয়া
- পাকিস্তান
- বাংলাদেশ
- নাইজেরিয়া
- মিশর
- তুরস্ক
- ইরান
- সুদান
- আলজেরিয়া
- আফগানিস্তান
- মরোক্কো
- ইরাক
- মালয়েশিয়া
- সৌদি আরব
- উজবেকিস্তান
- ইয়েমেন
- সিরিয়া
- কাজাখস্তান
- নাইজার
- বুর্কিনা ফাসো
- মালি
- সেনেগাল
- তিউনেসিয়া
- গিনি
- সোমালিয়া
- আজারবাইজান
- তাজিকিস্তান
- সিয়েরা লিওন
- লিবিয়া
- জর্ডান
- সংযুক্ত আরব আমিরাত
- কিরগিজস্তান
- তুর্কেমেনিস্তান
- চাদ
- লেবানন
- কুয়েত
- আলবেনিয়া
- মৌরিতানিয়া
- ওমান
- বসনিয়া ও হার্জেগেভিনা
- গাম্বিয়া
- বাহরাইন
- কোমোরোস
- কাতার
- জিবুতি
- ব্রুনাই
- মালদ্বীপ
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ৪৭ টি দেশের তালিকায় নেই অথচ ওআইসির সদস্যভুক্ত বাকিদেশগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হল।
- টোগো
- উগান্ডা
- মোজাম্বিক
- গায়ানা
- সুরিনাম
- আইভরি কোস্ট (কোত দিভোয়ার)
- বেনিন
- গ্যাবন
- গিনি-বিসাউ
- ক্যামেরুন
দেশগুলিতে মুসলিম জনগোষ্ঠী যেমন সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, তেমনি রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকেও প্রভাবশালী নয়।
জনসংখ্যার বিচারে বৃহত্তম ১০ টি মুসলিম দেশের তালিকা
সারা পৃথিবীর অসংখ্য মুসলিম দেশের মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে থাকা ১০ টি মুসলিম দেশের তালিকা সন্নিবেশিত হলো।
দেশ | মুসলিম জনসংখ্যা | অবস্থান |
ইন্দোনেশিয়া | ২২ কোটি ৯০ লাখ | ১ম |
পাকিস্তান | ২০ কোটি ৪ লাখ | ২য় |
ভারত | ১৮ কোটি ৯০ লাখ | ৩য় |
বাংলাদেশ | ১৫ কোটি ৩৭ লাখ | ৪র্থ |
নাইজেরিয়া | ১০ কোটি ৩০ লাখ | ৫ম |
মিসর | ৯ কোটি | ৬ষ্ঠ |
ইরান | ৮ কোটি ২৫ লাখ | ৭ম |
তুরস্ক | ৮ কোটি ৭ লাখ | ৮ম |
আলজেরিয়া | ৪ কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার ৯১৩ | ৯ম |
সুদান | ৩ কোটি ৯৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭৭ | ১০ম |
- ইন্দোনেশিয়া
দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া। দেশটি এক সময় ডাচ-উপনিবেশের অন্তর্ভূক্ত ছিল। ১৯০০ সালের দিকে দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়া নামে পরিচিতি পেতে শুরু করে। ৫০০০ দ্বীপ নিয়ে গঠিত ১৯ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ২৬ কোটি ৩০ লাখ। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর ৮৬.১ শতাংশ মুসলিম (২২ কোটি ৯০ লাখ) যা ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের মুসলিম প্রধান দেশের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রেখেছে।
- পাকিস্তান
দক্ষিন-পূর্ব এশিয়াতে ভারতীয় উপমহাদেশের একটি দেশ পাকিস্তান। পাকিস্তানের পূর্ননাম “ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান”। ২১ কোটি ২৭ লাখ জনসংখ্যার এই দেশটি মুসলিম প্রধান। পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৯৬.৫ শতাংশ মুসলিম (২০ কোটি ৯০ লাখ) যা দেশটিকে মুসলিম প্রধান দেশের তালিকায় ২য় অবস্থানে রেখেছে।
৩. ভারত
দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় ভারতের অবস্থান। দেশটি পাকিস্তান, মায়ানমার, চীন, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল ও ভূটানের সীমান্ত রয়েছে। বিশাল আয়তনের এই দেশটির জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি যার ১৪.২% মুসলিম। সেই হিসাবে ভারতে প্রায় ১৮ কোটি ৯০ লাখ মুসলিমের নিবাস রয়েছে। যদিও ভারত একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র।
৪. বাংলাদেশ
বাংলাদেশ দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত। দেশটির ভারত ও মায়ানমারের সীমান্ত দ্বারা বেষ্টিত। পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপটির আয়তন মাত্র ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার। আয়তন ছোট হলেও দেশটি ঘনবসতিপূর্ন। ১৭ কোটি জনসংখ্যার এ দেশটির ৯০.৪% মানুষ মুসলিম। সেই হিসাবে মোট মুসলিম জনসংখ্যা ১৫ কোটি ৩৭ লাখ যা দেশটিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রেখেছে।
৫. নাইজেরিয়া
নাইজেরিয়া পশ্চিম আফ্রিকার আটলান্টিক মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। দেশটির অফিসিয়াল নাম “নাইজেরিয়া যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র”। নাইজেরিয়ার মোট আয়তন ৯,২৩,৭৬৮ বর্গকিলোমিটার এবনং দেশটির মোট জনসংখ্যা ২০ কোটি। দেশটির মুসলিম জনসংখ্যার পরিমান ১০ কোটি ৩০ লাখ এবং এ হার মোট জনসংখ্যার ৫১.৬%। জনসংখ্যার দিক বিবেচনায় নাইজেরিয়া পৃথিবীর ৫ম বৃহত্তম মুসলিম প্রধান দেশ।
৬. মিসর
ইসলামী সভ্যতার সূচনার দিকে যে কয়টি দেশে ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছিল মিসর তাদের একটি।দেশটির অবস্থান আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে ও এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ন সভ্যতা ছিল মিসর। মামলুক সালতানাতের পতনের পর মিসর ছিল ওসমানীয় সম্রাজ্যের অধিভুক্ত। ১৯৩৬ সালে যাত্রা লাভ করা আধুনিক মিশরের আয়তন ১০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এবং বিশ্ব বাাংকের তথ্যানুযায়ী বর্তমান জনংখ্যা ১০ কোটি ৪০ লাখ। এদের মধ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠী ৯ কোটি যা মোট জনসংখ্যার ৯০% থেকে ৯৪.৭% মুসলিম।
৭. ইরান
ঐতিহাসিকভাবে পারস্য বলে পরিচিত ইরানের অবস্থান পশ্চিম এশিয়াতে। বহুদেশের সাথে ইরানের সীমান্ত রয়েছে। দেশটির আয়তন ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৫ বর্গকিলোমিটার। তেলসমৃদ্ধ বিশাল আয়তনের এই দেশটির মোট জনসংখ্যা ৮ কোটি ৩০ লাখ যার ৯৯. ৪ শতাংশই মুসলিম। ৮ কোটি ২৫ লাখ মুসলিম অধিবাসীর এই দেশটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের তালিকায় ৭ম স্থানে অবস্থান করছে।
৮.তুরস্ক
ইতিহাস সমৃদ্ধ এই দেশটির অবস্থান এশিয়া মাইনরে। সমৃদ্ধ ইতিহাস আর বৈচিত্রময় সৌন্দর্যের লীলাভূমির এই দেশটির আয়তন ৭ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫শ ৬২ বর্গকিলোমিটার। মোট জনসংখ্যা ৮ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার ৫২৫ যার মধ্যে মুসলিমের সংখ্যা ৭ কোটি ৯০ লাখ থেকে ৮ কোটি ৭ লাখ। ৯৮.৬% থেকে ৯৯.৮% মুসলিম জনগোষ্ঠী নিয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের তালিকায় দেশটি ৮ম স্থানে অবস্থান করছে।
৯. আলজেরিয়া
অনেকেই আলজেরিয়ার নাম জানেননা। ২৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৪১ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এই দেশটির অবস্থান পশ্চিম আফ্রিকায়। তবে, দেশটির ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্ম এতটাই মিল যে একে আরব বিশ্বের অংশ হিসাবে গন্য করা হয়।
মুসলিমপ্রধান এই দেশটির মোট জনসংখ্যা ৪ কোটি ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৮ যার ৯৯% ই মুসলিম! অর্থাৎ, ৪ কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার ৯১৩ মুসলিমের বাস আলজেরিয়াতে।
১০. সুদান
সুদানের নাম আমরা কম বেশি সবাই শুনেছি। সত্যি বলতে কি, বাংলাদেশ থেকে সুদানে বিপুল পরিমান শান্তিরক্ষী প্রেরিত হয়। উত্তর আফ্রিকায় অবস্থিত দেশটির মোট আয়তন ১৮,৮৬,০৬৮ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ৪ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার ৭৭০। মোট জনসংখ্যার ৯৭% মুসলিম যা দেশটিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের তালিকায় ১০ম স্থানে রেখেছে।
শীর্ষ ৫টি শক্তিশালী মুসলিম দেশের সামরিক শক্তির তালিকা
এই সেকশনে আপনাকে জানাব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সামরিক দিক থেকে অগ্রসরমান কিংবা শক্তিশালী ৫টি দেশ সম্পর্কে। তালিকাটি ২০২১ সাঁলে প্রকাশিত গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের সূচক থেকে নেওয়া হয়েছে। তালিকায় পারমানবিক অস্ত্রকে গননা করা হয়নি।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক…
১. পাকিস্তান
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার সূচকে পাকিস্তানের মান ০.২০৭৩ এবং ১৪০ টি দেশের মধ্যে সামরিক শক্তিতে ১০ম। চলুন পাকিস্তানের দখলে থাকা সমরভান্ডারগুলো জেনে নেওয়া যাক।
২০২১ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী পাকিস্তানের স্থল বাহিনীর সামরিক শক্তি-
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ট্যাংক | ২৬৮০ টি |
রকেট লঞ্চার | ৩৩০ টি |
আর্মর্ড ভেহিকেল | ৯,৬৩৫ টি |
স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি | ৪২৯ টি |
টোড আর্টিলারি | ১,৬৯০ টি |
২০২১ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী পাকিস্তানের নৌ-শক্তি
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ফ্রিগেট | ৮ টি |
কর্ভেট | ২ টি |
সাবমেরিন | ৯ টি |
পেট্রোল ভেসেল | ৪৯ টি |
মাইন ওয়্যারফেয়ার | ৩ টি |
২০২১ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর শক্তি
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ফাইটার বিমান | ৩৫৭ টি |
পরিবহন বিমান | ৪৮ টি |
ট্রেইনার বিমান | ৫১০ টি |
হেলিকপ্টার | ৩৩১ টি |
২. তুরস্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নেতৃত্ব তুরস্ককে অন্যতম পরাশক্তিকে পরিনত করেছে। ২০২১ সালের গ্লোবাল ফায়ার ইনডেক্সে সারা বিশ্বের ১৪০ টি দেশের মধ্যে তুরস্কের অবস্থান ১১। আর সূচকে এ মান ০.২১০৯
২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, তুরস্কের স্থল বাহিনীর শক্তি উল্লেখ করা হলঃ
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ট্যাংক | ৩,০৪৫ টি |
আর্মর্ড ভেহিকেল | ১১,৬৩০ টি |
রকেট লঞ্চার | ৪৭০ টি |
টোড আর্টিলারি | ১২০০ টি |
স্বয়ংক্রিয় গোলন্দাজ | ৯৪৩ টি |
২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, তুরস্কের নৌ-বাহিনীর শক্তি উল্লেখ করা হলঃ
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ফ্রিগেট | ১৬ টি |
করভেট | ১০ টি |
সাবমেরিন | ১২ টি |
মাইন ওয়ারফেয়ার | ১১ টি |
পেট্রোল ভেসেল | ৩৫ টি |
২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, তুরস্কের বিমান বাহিনীর শক্তি উল্লেখ করা হলঃ
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ফাইটার বিমান | ২০৬ টি |
পরিবহন বিমান | ৮০ টি |
ট্রেইনার বিমান | ২৭৩ টি |
হেলিকপ্টার | ৪৭১ টি |
অ্যাটাক হেলিকপ্টার | ১০৪ টি |
৩. মিসর
মুসলিম দেশ মিশরের সৈন্যরা রণাঙ্গনে বিখ্যাত। অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্রের বিশাল দখল রয়েছে দেশটির। উন্নত ও যুগোপযোগী ট্রেনিং মিশরের সেনাদের দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের সর্বশেষ সূচক অনুযায়ী বিশ্ব সামরিক শক্তির তালিকায় মিশরের অবস্থান ১৩ তে যার সূচকীয় মান ০.২২১৬।
২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, মিশরেরস্থল বাহিনীর শক্তি উল্লেখ করা হলঃ
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ট্যাংক | ৩,৭৩৫ টি |
আর্মর্ড ভেহিকেল | ১১,০০০ টি |
রকেট লঞ্চার | ১২৩৫ টি |
টোড আর্টিলারি | ২২০০ টি |
স্বয়ংক্রিয় গোলন্দাজ | ১১৬৫ টি |
২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, মিশরের নৌ-বাহিনীর শক্তি উল্লেখ করা হলঃ
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ফ্রিগেট | ৯ টি |
করভেট | ৭ টি |
সাবমেরিন | ৮ টি |
মাইন ওয়ারফেয়ার | ২৩ টি |
পেট্রোল ভেসেল | ৫০ টি |
হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার | ২ টি |
২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, মিশরের বিমান বাহিনীর শক্তি উল্লেখ করা হলঃ
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ফাইটার বিমান | ২৫০ টি |
পরিবহন বিমান | ৫৯ টি |
ট্রেইনার বিমান | ৩৪১ টি |
হেলিকপ্টার | ৩০৪ টি |
অ্যাটাক হেলিকপ্টার | ৯১ টি |
ডেডিকেটেড ফাইটার বিমান | ৮৮ টি |
বিশেষ মিশন ফাইটার | ১১ টি |
৪. ইরান
শক্তিশালী ইসরায়েল ও পরাক্রমশালী আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে শত অবরোধ ও প্রতিকুলতাকে ছাপিয়ে সগৌরবে এগিয়ে যাওয়া এক দেশের নাম ইরান। ক্যাস্পিয়ান সাগর ও পারস্য উপসাগর দাপিয়ে বেড়ায় ইরানের বিপ্লবী রেভ্যূলুশনারী গার্ড। স্থল ও বিমান বাহিনীও কম যায়না। ইরানের সামরিক বাহিনীর রয়েছে শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। হামাস ও হিজবুল্লাহ চলে ইরানের ইশারায়।
এখন, চলুন ইরানের সামরিক সম্ভারে কি কি যুদ্ধাস্ত্রের ঝনঝনানি বাজছে তা জেনে নেওয়া যাক!
২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের স্থল বাহিনীর শক্তি উল্লেখ করা হলঃ
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ট্যাংক | ৩৭০৯ টি |
আর্মর্ড ভেহিকেল | ৮৫০০ টি |
রকেট লঞ্চার | ২৪৭৫ টি |
টোড আর্টিলারি | ২১০৮ টি |
স্বয়ংক্রিয় গোলন্দাজ | ৭৭০ টি |
২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের নৌ-বাহিনীর শক্তি উল্লেখ করা হলঃ
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ফ্রিগেট | ৬ টি |
করভেট | ৩ টি |
সাবমেরিন | ২৯ টি |
মাইন ওয়ারফেয়ার | নেই |
পেট্রোল ভেসেল | ২০ টি |
হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার | নেই |
২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের বিমান বাহিনীর শক্তি উল্লেখ করা হলঃ
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ফাইটার বিমান | ১৬১ টি |
পরিবহন বিমান | ৮৫ টি |
ট্রেইনার বিমান | ৯৬ টি |
হেলিকপ্টার | ৯৯ টি |
অ্যাটাক হেলিকপ্টার | ১২ টি |
ডেডিকেটেড ফাইটার বিমান | ২৩ টি |
বিশেষ মিশন ফাইটার | ৯ টি |
৫. সৌদি আরব
অর্থনৈতিক শক্তি সৌদি আরব সামরিক ক্ষেত্রে ও কম যায়না। আরব বসন্তের পর থেকে তারা উত্তরাত্তর সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। আমেরিকার সাথে বিদ্যমান মধুর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবিধা কাজে লাগিয়ে নানান অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র সংগ্রহ করছে দেশটি। তবে, প্রতিবেশি দেশ ইয়েমেনেই এসব অস্ত্রের ঝনঝনানি বাজাচ্ছে সৌদি যা দেশটির সমরকৌশলকে মুসলিম বিশ্বের কাছে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে এবং ভাবমূর্তিতে বড় ধরনের আঘাত হেনেছে।
উল্লেখ্য, আশ্চর্যজনক হলেও সত্য সৌদি আরব তার অস্ত্রেশস্ত্রের বেশিরভাগ আরেক মুসলিম দেশ ইরানকে মোকাবিলায় উদ্দেশ্যে ক্রয় করে থাকে।
যাইহোক, চলুন সৌদি আরবের সামরিক শক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরবের স্থল বাহিনীর শক্তি উল্লেখ করা হলঃ
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ট্যাংক | ১০৬২ টি |
আর্মর্ড ভেহিকেল | ১২,৫০০ টি |
রকেট লঞ্চার | ৩০০ টি |
টোড আর্টিলারি | ১৮০০ টি |
স্বয়ংক্রিয় গোলন্দাজ | ৭০৫ টি |
২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরবের নৌ-বাহিনীর শক্তি উল্লেখ করা হলঃ
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ফ্রিগেট | ৭ টি |
করভেট | ৪ টি |
সাবমেরিন | নেই |
মাইন ওয়ারফেয়ার | ৩ টি |
পেট্রোল ভেসেল | ৯ টি |
হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার | নেই |
২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরবের বিমান বাহিনীর শক্তি উল্লেখ করা হলঃ
যুদ্ধাস্ত্র | পরিমান |
ফাইটার বিমান | ২৮৯ টি |
পরিবহন বিমান | ৫০ টি |
ট্রেইনার বিমান | ৯৬ টি |
হেলিকপ্টার | ২৫৮ টি |
অ্যাটাক হেলিকপ্টার | ৩৪ টি |
ডেডিকেটেড ফাইটার বিমান | ৮১ টি |
বিশেষ মিশন ফাইটার | ১৩ টি |
পৃথিবীর মোট মুসলিম জনসংখ্যা কত?
২০২১ সাল নাগাদ পৃথিবীতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি যা ইসলামকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হিসেবে স্থান করে দিয়েছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠী সারা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৪% গঠন করেছে।
আরও জেনে আশ্চর্য হবেন যে, “ইসলাম” পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম। প্রতি বছর ইসলামে বিশ্বাসী মানুষজনের বৃদ্ধির এ হার ১.৮৪ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের জরিপ ও গবেষনা সংস্থা পিউ’র আলোকপাত অনুযায়ী ২০৩০ সালে মুসলিমের সংখ্যা ২০০ কোটি ২০ লাখ, ২০৫০ সালে ২০০ কোটি ৭৬ লাখ, এবং ২০৭০ নাগাঁদ এসংখ্যা হবে ৩০০ কোটি। সেই হিসাবে ২০৭০ সাল নাগাদ ইসলাম হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্ম।
ইউরোপের মুসলিম দেশগুলোর তালিকা
ইউরোপের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সংখ্যা ৫টি।
ইউরোপের মুসলিম অধ্যুষিত ৫টি মুসলিম দেশের তালিকা-
- তুরস্ক
- বসনিয়া ও হার্জেগাভিনা
- আলবেনিয়া
- কসোভো
- আজারবাইজান
১৩ টি ইউরোপিয়ান দেশ যেখানে তাৎপর্যপূর্ণ মুসলিম জনগোষ্ঠী আছে-
- অষ্ট্রিয়া
পশ্চিম ইউরোপে জার্মানির সিমান্ত ঘেঁষে অষ্ট্রিয়ার অবস্থান। অষ্ট্রিয়ার মুসলিম জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ৮ %। - বেলজিয়াম
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটির মোট জনসংখ্যার ৫.৯% মুসলিম। - বুলগেরিয়া
দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত ১,১০,৯৩৩ বর্গ কিমি আয়তনের এই দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৩.৪ %। - সাইপ্রাস
ভূমধ্যসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র একটা সময় অটোমান সম্রাজ্যের অংশ ছিল গরিষ্ট সংখ্যক টার্কদের বসতি ছিল। ফলশ্রুতিস্বরুপ, তখন ইউরোপ মহাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম এই দ্বীপটির বেশিরভাগ মানুষই মুসলিম ছিল। অটোমানদের পতনের পর দ্বীপটিতে মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে। বর্তমানে এ সংখ্যা ২২.৭ %। - ফ্রান্স
ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম এবং পশ্চিমা সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা জাতিগোষ্ঠীর একটি হলো ফরাসিরা। খ্রিস্টান প্রধান এই দেশটির ৭.৫% মুসলিম।
- নেদারল্যান্ড
জার্মানী ও বেলজিয়ামের সীমান্ত ঘেরা উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ৭২.৫ লক্ষ। এ জনগোষ্ঠীর ৪.৯% মুসলমান।
কথা প্রসঙ্গে, নেদারল্যান্ড শব্দের অর্থ কি জানেন? নিম্নভূমি।
- উত্তর মেসিডোনিয়া
দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপে অবস্থিত এই রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক নাম উত্তর মেসিডোনিয়া প্রজাতন্ত্র। দেশটি ১৯৯১ সালে যুগোশ্লাভিয়া থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটির ৩৩.৩ শতাংশ মুসলিম। - মন্টিনিগ্রো
সার্বিয়ার কাছ থেকে সদ্য স্বাধীনতা লাভ করা বলকান অঞ্চলের ছোট্ট এই দেশটির ১৯.২৩% মুসলিম। এই দেশটি অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল।
- লিশটেনস্টাইন
১৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই অতিক্ষুদ্র রাষ্ট্রটির অবস্থান মধ্য-ইউরোপে। ২০০৫ সালের শুমারী অনুযায়ী দেশটির জনসংখ্যা ৩৪,৫২১ যার ৫.৪ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলাম্বী মুসলিম।
- রাশিয়া
রাশিয়া বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ। পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত এই দেশটির মোট আয়তন ১,৭০,৯৮,২৪২ বর্গ কিমিঃ এবং জনসংখ্যা ১৪,৩৯,৭৫,৯২৩ জন এবং এই বিশাল জনসংখ্যার ১০% হল মুসলিম। - সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ডের ৫ শতাংশ মানুষ মুসলিম।
- যুক্তরাজ্য
উপনিবেশবাদী যুক্তরাজ্যের অবস্থান ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের একটি দ্বীপে। দেশটির অফিসিয়াল নাম গ্রেইট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের মোট জনসংখ্যা ৬৪,৭১৬,০০০ জন এবং মোট জনসংখ্যার ৫.০২% মুসলিম যা ইসলামকে দেশটি দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মে পরিনত করেছে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র রয়েছে কয়টি দেশে?
সারা বিশ্বে ইসলাম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সংখ্যা ৪৭ টি। তবে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র রয়েছে অল্প কয়েকটি দেশে।
তবে, শুরুতেই প্রশ্ন হল, ইসলামী প্রজাতন্ত্র কি?
যেসমস্ত দেশে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক রাষ্ট্রব্যাবস্থা পরিচালিত হয় এবং রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় রাজতন্ত্র থাকেনা সে সমস্ত রাষ্ট্রকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র বলা হয়। ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রধান শর্ত হল রাষ্ট্রের আইন তথা বিচার ব্যাবস্থা ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক চলতে হবে।
পৃথিবীতে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সংখ্যা ৪ টি। এগুলো হল-
- ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান
- ইসলামী প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তান
- ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান
- ইসলামী প্রজাতন্ত্র মৌরিতানিয়া
নতুন মুসলিম দেশ
বিশ্বের নয়া মুসলিম রাষ্ট্রটি হল “বাংসামোরো”। সংক্ষেপে ‘মরো’। ফিলিপাইনি শব্দ বাংসামোরোর অর্থ ‘নেশন অব দ্য মরো’ বা ‘মরো জাতির দেশ। এ জনপদের মোট জনসংখ্যা ২ কোটি ৫৬ লাখের মধ্যে ৯২ শতাংশ মুসলিম। নতুন এ মুসলিম দেশ টি ফিলিপাইনের মুসলিম অধ্যুষিত বাংসামোরো অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত হয়েছে। ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট (এমআইএলএফ) দীর্ঘ ৪ দশকের অধিক সময়জুড়ে অঞ্চলটির স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছিল।
বাংলাদেশ কি মুসলিম দেশ?
বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র। ১৯৮৮ সালের ৫ই জুন সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষিত হয়।
এরশাদের এমন সাহসী পদক্ষেপ সমকালীন ধর্মপ্রান বাঙ্গালীদের হৃদয় ছুয়ে যায়। বস্তুত, এরশাদের এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে রাজনৈতিক কারণ ছিল। যাইহোক, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেন সংবিধানের এ সংশোধনী উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন তৎকালীন সুশীল শ্রেণীর মানুষজন।
অবশ্য, ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই রিট খারিজ করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হিসাবে স্থায়ীভাবে আত্নপ্রকাশ করল।
কোন কোন দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম?
পৃথিবীর ২৬ টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। বিশ্বের ১২০টি দেশে ইসলাম ধর্মের অনুসারী মানুষজন ছড়িয়ে আছে। তার মধ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সংখ্যা ৪৭ টি। এছাড়া আরও ২৯টি দেশ রয়েছে যেখানে মুসলিমদের সংখ্যা কম তবে তারা যথেষ্ট প্রভাবশালী।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম যে সমস্ত দেশে তাদের সবারই যে ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী বিচার হতে হবে তেমনটর প্রয়োজন নেই। বরং, সাংবিধানিকভাবে দেশগুলোর রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা মানে এই না যে দেশটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র। প্রতিটি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে এমন প্রতিটি রাষ্ট্রই ইসলামী প্রজাতন্ত্র নয়।
যে ২৬ টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তাদের তালিকা দেওয়া হলঃ
- বাংলাদেশ
- সৌদি আরব
- কুয়েত
- ওমান
- সংযুক্ত আরব আমিরাত
- বাহরাইন
- ইয়েমেন
- কাতার
- জর্ডান
- মালদ্বীপ
- মালয়েশিয়া
- ব্রুনাই
- আফগানিস্তান
- ফিলিস্তিন
- ইরাক
- ইরান
- পাকিস্তান
- মিশর
- মরক্কো
- সোমালিয়া
- লিবিয়া
- কোমোরোস
- আলজেরিয়া
- তিউনেসিয়া
- জিবুতি
- মৌরিতানিয়া
আপনার উদ্দেশ্যে
এখন পালা আপনার সাথে কথা বলার।
পুরো লেখা জুড়ে কোন কোন বিষয়ে আপনি একমত নন?
অথবা, আর কোন তথ্য থাকলে আরো ভালো হতো?
কমেন্ট করে জানাবেন।
আর হ্যা, অবশ্যই অবশ্যই বিডিটেলিগ্রাফের ফেসবুক পেইজ লাইক দিতে এবং গ্রুপে যুক্ত হতে ভুলবেন না।
বারবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ
বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে কত নাম্বার?
সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে মুসলিম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ চতুর্থ।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেন কোন প্রেসিডেন্ট?
বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ (১৯৮৮ সালে)।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কোনটি?
সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া।
মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কততম?
মুসলিম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় এবং জনসংখ্যার বিচারে চতুর্থ।
আরো খবর থাকলে জানাবেন
অবশ্যই! পাশে থাকবেন।
এরশাদ সাহেব রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম করাতে আপনি বললেন এটা রাজনৈতিক। বাংলাদেশ সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম প্রধান দেশ হয়েও রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হওয়ার অধিকার নাই? এরশাদ সাহেব যে কাজটি করে গেছে সে এর উছিলায় পরকালে নাজাত পেতে পারে।
আপনার লেখায় ভুল রয়েছে। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ২৮টি দেশের তালিকায় ৩,৪,ও ৬,৭ একই নাম লিখেছেন। তাহলে তালিকায় আছে ২৬ টি।
প্রিয় পাঠক, অসংখ্য ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য। সংশোধন করা হয়েছে।
পড়ে ভাল লাগলে।
ধন্যবাদ!
আপনার এই পরিশ্রম আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন, আমিন।
আশা করি ভবিশ্যতে নিখুত, সুক্ষ্ম ও তথ্যবহুল গভেষণা প্রকাশ করে ইসলামিক উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করবেন।
আল্লাহর শুকরিয়া যে, আমার ক্লেশহীন প্রচেষ্টা কোনো মুসলিম ভাইয়ের উপকারে এসেছে।
মাশা আল্লাহ্ খুভ ভাল লিখেছেন
কৃতজ্ঞতা। আপনার উদার শব্দগুলোর জন্য ভালবাসা নিরন্তর।
I love all the peace Loving people in the world
খুব ভালো লাগলো,পড়ে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ঠিক আপনার মন্তব্য- ই আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়।
আলহামদুলিল্লাহ অনেক অজানাকে জানলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ! আল্লাহ আপনার এই কষ্টে পরিশ্রম কবুল করুক । আমিন !
অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাই। জাযাকাল্লাহ!
পড়ে খুব ভালো লাগলো।
অনেক কষ্ট করে আপনি এই তথ্য গুলো দিয়েছেন।
আল্লাহতালা আপনার নেক হায়াত দান করুন।
জাজাকাল্লাহু খয়রান
আমিন
ধন্যবাদ। অনেক কিছুই জানলাম। কিন্ত ফিলিস্তিন এর কথা নেই কেন?
আপনার মেহনতকে কবুল করুক আমিন
খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে
আলহামদুলিল্লাহ । খুব ভাল লাগল । এভাবে ইসলামিক বিষয়ে আপডেট পেতে অনুরোধ রইল । ধন্যবাদ ।